বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭

কম্পিউটার বন্ধের সময় আপডেট ইনস্টল নিতে চাইছে ? (Computer shutdown time to install updates ? )

কম্পিউটার বন্ধের সময় আপডেট ইনস্টল নিতে চাইছে ?
 (Computer shutdown time to install updates ? )

প্রায় কিছুদিন পরপরই উইন্ডোজ তার প্রয়োজনীয় আপডেট নিয়ে থাকে। আপনার অজান্তেই উইন্ডোজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট নেয় এবং কম্পিউটার বন্ধ করতে গেলে উইন্ডোজের নেওয়া আপডেটগুলো তখন ইনস্টল হতে থাকে। এটি যেমন বিরক্তির, তেমনি সময় নষ্ট করে। চাইলেই কম্পিউটার বন্ধের সময় আপডেট ইনস্টল ছাড়াই বন্ধ করা যায়।

 যেভাবে বুঝবেন

উইন্ডোজ সাতে এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। কম্পিউটার বন্ধের সময় স্টার্ট মেনুতে গিয়ে যদি Shutdown লেখার সামনে কমলা রঙের শিল্ড ওয়ার্নিং আইকন দেখা যায়, তবে তাতে ক্লিক করলে আপডেট ইনস্টল হয়ে তারপর কম্পিউটার বন্ধ হবে। কয়েকভাবে এটিকে বন্ধ করা যায়।

 যা করবেন

কাজ শেষে তাড়াহুড়ো করে কম্পিউটার বন্ধ করার আগে খেয়াল করুন শাটডাউনের পাশে কমলা রঙের কোনো আইকন দেখা যায় কি না? দেখা গেলে সেটিতে ক্লিক করবেন না। করলেই আপডেটগুলো ইনস্টল শেষে কম্পিউটার বন্ধ হবে। বিকল্পভাবেও কম্পিউটার বন্ধ করা যায়। তাই এমন দেখা গেলে Windows Key + D চেপে ডেস্কটপে আসুন। এবার কি-বোর্ডের Alt + F4 কি একসঙ্গে চাপুন। Shut Down Windows-এর নতুন একটি ডায়ালগ বক্স চালু হবে। এখানের পুল ডাউন মেনু থেকে Shut down নির্বাচন করে ওকে চাপুন।

আরেকভাবে কম্পিউটার বন্ধ করতে পারেন। এ জন্য শাটডাউন বোতামে আপডেটের আইকন দেখালে Windows key + L কি চাপুন। ডান পাশে নিচের কোনায় পাওয়ার আইকনের পাশের অ্যারো চিহ্নে ক্লিক করলে আরও অপশন পাবেন। এখান থেকে শুধু Shut down অপশনে ক্লিক করলে আপডেট ইনস্টল ছাড়াই কম্পিউটার বন্ধ হবে।

এ ছাড়া চাইলেই আরও দ্রুততার সঙ্গে কম্পিউটারকে বন্ধ করতে পারেন কমান্ড প্রম্পটের একটি শাটডাউন কমান্ড চালিয়ে। এ জন্য Windows key + R চেপে রান চালু করুন। এখানে cmd লিখে এন্টার চাপুন। কমান্ড প্রম্পট খুলে গেলে এখানে shutdown/s/f/t0 (শেষের শব্দটি শূন্য) লিখে এন্টার চাপলে কম্পিউটার দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে।

শনিবার, ১৭ জুন, ২০১৭

Windows 10 Free Download
( উইন্ডোজ ১০ এখনো বিনা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে )


উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে ছাড়ার পর মাইক্রোসফট তা এক বছর পর্যন্ত বিনা মূল্যে হালনাগাদ করার সুযোগ দিয়েছিল উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ সংস্করণের বৈধ ব্যবহারকারীদের। অনেকেরই জানা আছে, সেই সুযোগ শেষ হয়েছে গত বছরের ২৯ জুলাই। এর মানে নতুন উইন্ডোজ ১০ বৈধভাবে ব্যবহার করতে হলে টাকা দিয়ে কিনতে হবে।

মজার ব্যাপার হলো, বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০ পাওয়ার সময়সীমা শেষ হলেও এই কথা মাইক্রোসফটের অ্যাকটিভেশন সার্ভার যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁদের হয়তো কেউ বলেনি! এখনো চাইলে উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেম থেকে উইন্ডোজ ১০ সিস্টেমে হালনাগাদ করা সম্ভব। বৈধ উইন্ডোজ ৭ চালিত দুটি নতুন ও পুরোনো ল্যাপটপ, উইন্ডোজ ৮ চালিত একটি কম্পিউটার এবং একাধিক ভার্চ্যুয়াল যন্ত্রে পরীক্ষা চালিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। সব কটি কম্পিউটারই ডিজিটাল লাইসেন্সের অধীনে সক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে।
আগে ‘গেট উইন্ডোজ ১০’ (Get windos 10 )  বা জিডবিøউএক্স নামের একটি ছোট অ্যাপের মাধ্যমে উপযুক্ত পুরোনো কম্পিউটারগুলো নতুন অপারেটিং সিস্টেমে হালনাগাদ করার সুযোগ ছিল। এখন অবশ্য সরাসরি সেই অ্যাপটি চালু নেই। যাঁদের উইন্ডোজ ৭ এবং ৮.১ সিস্টেম সক্রিয় এবং বৈধ লাইসেন্স রয়েছে, তাঁরা চাইলে নিচের ধাপ অনুসরণ করে উইন্ডোজ ১০ পেতে পারেন।

প্রথমেই যেতে হবে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ নামানোর  https://goo.gl/Sk2QwP   or,   https://www.microsoft.com/en-us/software-download/windows10    ওয়েব ঠিকানায়। তারপর নিচে থাকা Download tool now বোতামে ক্লিক করে উইন্ডোজ মিডিয়া ক্রিয়েশন টুলটি নামিয়ে ইনস্টল ও চালু করতে হবে। টুলটি চালু করে Upgrade this PC now অপশন নির্বাচন করে নেক্সট চাপতে হবে। তখন উইন্ডোজ ১০ সিস্টেমের সব ফাইল নামতে শুরু করবে, এর আকার সিস্টেম অনুযায়ী ৩-৪ গিগাবাইট পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার রিস্টার্ট নেওয়ার বার্তা দেবে। তখন পর্দায় আসা নির্দেশনা নিজের প্রয়োজন অনুসারে অনুসরণ এবং নির্বাচন করতে হবে। বলে রাখা ভালো, যদি সিস্টেম ড্রাইভে রাখা সমস্ত ফাইল, অ্যাপস এবং সেটিংস আগের মতোই রাখতে চান, তাহলে সতর্কতার সঙ্গে অপশনটি নির্বাচন করে দিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে বেশ কিছু সময় লাগতে পারে। এটা আসলে নির্ভর করে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইটথ এবং সিস্টেমের ক্ষমতার ওপর।
ইনস্টলের প্রক্রিয়া শেষ হলে স্টার্ট বোতামে ক্লিক করে Settings>Update & Security>Activation মেনুতে গিয়ে নিজের ডিজিটাল লাইসেন্স সক্রিয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর মানে হলো, এই কম্পিউটারে ভবিষ্যতে যতবার ইচ্ছা উইন্ডোজ ১০ মুছে ফেলে পুনরায় ইনস্টল করা যাবে কোনো প্রডাক্ট কি ছাড়াই। এভাবে সর্বশেষ উইন্ডোজ ১০ ক্রিয়েটরস আপডেট সংস্করণ বিনা মূল্যেই পাওয়া যাবে।

ফাইল মুছে দেওয়া যাবে বেঁধে দেওয়া সময়ে (File can be deleted at the time of the binding)

 ফাইল মুছে দেওয়া যাবে বেঁধে দেওয়া সময়ে 
(File can be deleted at the time of the binding)

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে কোনো ফাইল নির্বাচন করে ডিলিট চাপলে বা সেই ফাইলে মাউসের ডান ক্লিক করে ডিলিট বোতাম চাপলে ফাইলটি পুরোপুরি মুছে যায় না। ফাইলটিকে যদি শিফট + ডিলিট বোতাম চেপে না ডিলিট করা হয়, তাহলে সেই ফাইলটি রিসাইকেল বিন ফোল্ডারে গিয়ে জমা হয়। এই ফোল্ডারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, আবার পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। উইন্ডোজের প্রায় সব সংস্করণ থেকেই এটি করতে পারবেন। কিন্তু কখনো কখনো এমনও হয় যে কাজের সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে একাধিক ফাইল ডিলিট করতে হয়। একাধিক ফাইল রাখাটা নির্ভর করে বিন ফোল্ডারের আকারের ওপর। বিন ফোল্ডারের আকার সেটির ধারণক্ষমতা অতিক্রম করলে ফাইল ডিলিট করাটাই ভালো। আবার যখন বিন ফোল্ডারে একসঙ্গে অনেক ফাইল জমে যায় তখন সেগুলো এক এক করে ডিলিট করাও বেশ সময়সাপেক্ষ। উইন্ডোজ দশে রিসাইকেল বিনের ফাইল ৩০ দিনের বেশি হয়ে গেলে সেটিকে স্বয়ংক্রিয় ডিলিট করার সুবিধা যোগ করা হয়েছে। চাইলেই এটি ব্যবহার করে সময় বাঁচানো যাবে।
যা করবেন: উইন্ডোজ দশের স্টোরেজ সেন্স সুবিধা সক্রিয় করলে বিন ফোল্ডারের ডেটা স্বয়ংক্রিয় ডিলিট করার সুবিধাটি পাওয়া যাবে। এ জন্য স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে Settings লিখুন। খুঁজে পাওয়া সেটিংসে ক্লিক করে সেটিংসের পাতায় আসুন। এবার এই পাতার System-এ ক্লিক করুন। সিস্টেম সেটিংসের বাঁয়ের মেন্যু থেকে Storage-এ ক্লিক করুন। এখানে স্টোরেজ সেন্স বিভাগের নিচের Off-এ ক্লিক করে সেটি আবার On করে দিন। এবার এর নিচের Change how we free up space লিংকে ক্লিক করুন। পরের উইন্ডোতে গেলে Delete files that have been in the recycle bin for over 30 days এর নিচের Off বোতামে ক্লিক করে সেটিকে On করে দিন। তাহলে রিসাইকেল বিনে জমা থাকা ফাইল যদি ৩০ দিনের বেশি হয়ে যায়, তাহলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে। এ ছাড়া এখানে থাকা Delete temporary files that my apps aren’t using অপশনকে চালু করলে অ্যাপে ব্যবহার হয় না, এমন অস্থায়ী ফাইল মুছবে। আবার Delete files in my Downloads folder that haven’t changed for over 30 days অপশন চালু করলে ডাউনলোড ফোল্ডারে থাকা যে ফাইলগুলো ৩০ দিনেও ব্যবহার হয়নি সেগুলো মুছবে। আপনার যেটি দরকার, সেটি বেছে নিলে ঝামেলা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাইল ডিলিট করতে পারবেন।


উইন্ডোজের প্রোগ্রাম ফাইল যদি না খোলে (If not open windows program file)

 উইন্ডোজের প্রোগ্রাম ফাইল যদি না খোলে 
 (If not open windows program file)

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল বা পাওয়ার পয়েন্ট ফাইলগুলো চালু করতে চাইলে অনেক সময় There was a problem sending the command to the program বার্তা দেখায়। ডাইনামিক ডেটা এক্সচেঞ্জ কমিউনিকেশন প্রটোকল ব্যবহার করে উইন্ডোজ তার সোর্স এবং টার্গেট প্রোগ্রামগুলোকে আলাদা ফাইল টাইপ আকারে খুলে থাকে। ব্যাকগ্রাউন্ডে ফাইল চলতে থাকলে ডিডিই কমান্ড অপ্রয়োজনীয় ফাইল খুলতে কখনো বাধা প্রদান করে থাকে। আবার উইন্ডোজ এবং ডিডিইয়ের মধ্যে অফিস অ্যাপ্লিকেশন খুলতে গিয়ে কোনো কমান্ডে বাধাগ্রস্ত হলে এমন সমস্যা দেখা দেয়।

যা করতে হবে

মাইক্রোসফট অফিস এক্সেল প্রোগ্রাম চালু করুন। অফিস ওআরবি আইকনে বা রিবনে থাকা FILE মেন্যুতে ক্লিক করে Options নির্বাচন করুন। Excel Option উইন্ডো চালু হলে বাঁ দিকের মেন্যু থেকে Advanced ট্যাবে ক্লিক করুন। এখানে মাউস স্ক্রল করে নিচের দিকে এসে General অংশের Ignore other applications that use Dynamic Data Exchange (DDE)-এর বাঁয়ে টিক চিহ্ন দিয়ে ওকে চেপে বের হয়ে এলে পরবর্তী সময়ে এক্সেল ফাইল খোলার সময় আর সমস্যা থাকবে না।

এই পদ্ধতিতে কাজ না হলে আবার যেকোনো অফিস ফাইলে মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করে Open with অপশনে মাউস নিয়ে উইন্ডোজ ৭ বা তার আগের জন্য Browse বোতাম চাপুন। উইন্ডোজ ৮ বা তারপরের সংস্করণের জন্য More Options-এ ক্লিক করে Look for another app on this PC অপশনে ক্লিক করুন। এখন C:/Program Files/Microsoft Office/Office...ফোল্ডারে  যান। এখন .xlsx যুক্ত এক্সেল ফাইলের জন্য EXCEL.EXE ফাইল নির্বাচন করুন। .docx যুক্ত ওয়ার্ড ফাইলের জন্য WINWORD.EXE ফাইল নির্বাচন করুন। এবার নিচের Always use this application for this file type-এ টিক চিহ্ন দিয়ে ওকে করে ফাইল চালু করলেই সমস্যা ছাড়াই সেটি চালু হবে। তাতেও কাজ না হলে মাইক্রোসফট অফিস সুইট রিপেয়ার করলে এমন সমস্যা দূর হয়। এ জন্য Control Panel-এ গিয়ে Programs and Features আইকনে ক্লিক করুন। Microsoft Office-এ ক্লিক করে Change বোতামে ক্লিক করুন এখন Repair বোতামে অপশন নির্বাচন করে Continue বোতাম চাপলে অফিস রিপেয়ার হয়ে যাবতীয় সমস্যাগুলো সমাধান হবে।

দুই ক্লিকে ড্রাইভ না খুললে (Do not open the drive with two clicks)

দুই ক্লিকে ড্রাইভ না খুললে 
(Do not open the drive with two clicks)

অনেক সময় কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে দেখলেন হার্ডডিস্কের আলাদা ড্রাইভগুলোতে ডাবল ক্লিক করলে সেটি খুলছে না। উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমে এটি প্রায়ই হয়ে থাকে। আপনি কোনো কাজে D ড্রাইভে দুই ক্লিক করে খুলতে গেলেন কিন্তু স্বাভাবিকভাবে সেটি না খুলে অটো রানের কিছু তালিকা দেখিয়ে সেটি খুলতে বলতে পারে। আবার This drive does not open কিংবা Restriction with administrator বার্তা দেখিয়ে আপনাকে থামিয়ে দিতে পারে। কিছু ভাইরাস আপনাকে বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য এমনভাবে সাজানো থাকে এবং ভাইরাস কিছু খারাপ রেজিস্ট্রি তৈরি করে, ফলে কাজে এমন বাধা আসে। এ জন্য স্টার্ট মেন্যু থেকে রান প্রোগ্রাম চালু করুন। এখানে regedit লিখে এন্টার চাপুন।

রেজিস্ট্রি এডিটর চালু হলে বাঁয়ের তালিকা থেকে HKEY_CURRENT_USER অংশ থেকে Software-এ ক্লিক করে আবার Microsoft নির্বাচন করুন। এখানে আবার Windows-এ ক্লিক করুন। এরপর CurrentVersion থেকে Explorer-এ ক্লিক করে MountPoints2 খুঁজে নিয়ে মুছে (ডিলিট) ফেলুন। মনে রাখবেন, ভাইরাস আক্রান্ত হলেই শুধু এই রেজিস্ট্রি মুছতে হবে। অযথা মুছে ফেললে উইন্ডোজের সিস্টেম ফাইল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই জেনে-বুঝে কাজটি করতে হবে। যদি নির্দিষ্ট কোনো ড্রাইভে দুই ক্লিক করেও না খোলে, তাহলে কি-বোর্ড থেকে Shift বোতাম চেপে ধরে সেই ড্রাইভের ওপর মাউসের ডান বোতাম চাপুন। ধরুন আপনার কম্পিউটারের D ড্রাইভ দুই ক্লিক করলেও খুলছে না। তাহলে কি-বোর্ড থেকে Shift বোতাম চেপে ধরে ড্রাইভের ওপর মাউসের ডান বোতাম চাপুন। তালিকা থেকে Open command window here-এ ক্লিক করুন। তাহলে D ড্রাইভের ওপর কমান্ড প্রম্পটের কাজ করার জন্য নতুন কমান্ড উইন্ডো খুলে যাবে। এবার এখানে cd/ লিখে এন্টার চাপুন। পরের লাইনে attrib -r -h -s autorun.inf হুবহু লিখে আবার এন্টার চাপুন। পরের লাইনে আবার del autorun.inf লিখে এন্টার চাপুন। অটোরান প্রোগ্রাম মুছে যাবে। এবার কম্পিউটার একবার রিস্টার্ট করে নিলে দুই ক্লিকে ড্রাইভার খুলবে।


যে ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট হয় না (That file or folder is not deleted)

যে ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট হয় না 
(That file or folder is not deleted)

কম্পিউটারে কখনো এমন কিছু ফাইল বা ফোল্ডার তৈরি হয়, যেগুলো মুছে ফেলা (ডিলিট) একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফাইল ডিলিট না হলে সেটি বেশ বিরক্তির কারণও বটে। কিন্তু চাইলেই যেসব ফাইল বা ফোল্ডার ডিলিট হয় না, সেগুলোও ডিলিট করতে পারবেন। এটি করতে অবশ্যই কম্পিউটারের কমান্ড প্রম্পট বিষয়ে আগে থেকে জানতে হবে এবং ফাইল ও ফোল্ডারের ডিরেক্টরি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।

যা করতে হবে
উইন্ডোজ ৭ এবং এর পরের সংস্করণের জন্য প্রথমে স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে cmd লিখুন। cmd.exe এলে সেটিতে মাউসের ডান বোতামে (রাইট) ক্লিক করে Run as administrator নির্বাচন করে খুলুন। কমান্ড প্রম্পটের উইন্ডো মিনিমাইজ করে CTRL + ALT + DEL একসঙ্গে চেপে টাস্ক ম্যানেজার চালু করুন। অথবা ডেস্কটপের নিচের টাস্কবারে রাইট ক্লিক করে Start Task Manager নির্বাচন করুন। কম্পিউটারে explorer.exe চালু থাকলে কাঙ্ক্ষিত ফাইল মোছা যায় না, তাই এটি বন্ধ করতে Process ট্যাবে গিয়ে explorer.exe খুঁজে নিয়ে তাতে রাইট ক্লিক করে End Process Tree-তে ক্লিক করুন। একটি বার্তা আসবে, সেটিতে আবার End Process চাপুন। এবার কমান্ড প্রম্পটের উইন্ডোতে ফিরে আসুন। আপনার যে ড্রাইভে ফাইলটি আছে, সেটির ডিরেক্টরি এখানে লিখে দিতে হবে। আপনার ফাইলটি যদি D: ড্রাইভে থাকে, তাহলে এখানে cd D: লিখে এন্টার চাপুন। cd কমান্ড প্রয়োগের ফলে D: ড্রাইভে থাকা ফাইল ব্যবহার করা যাবে। এবার যে ফাইলটি মুছে ফেলতে চান, সেটির জন্য এখানে del d:/Prothom-AloDocs/abcFolder/abcFile.docx লিখে এন্টার চাপুন। খেয়াল করুন এখানে del সংকেত (কমান্ড) দিয়ে ফাইল মুছবে আর পরের অংশটি হলো ফাইল ডিরেক্টরির ঠিকানা। তাই এখানে আপনার কাঙ্ক্ষিত ফাইলের ডিরেক্টরি বসিয়ে নিয়ে কাজটি করুন। কোনো ফোল্ডার মুছতে চাইলে RD/S/Q d:/Prothom-AloDocs/ComputerProtidinFolder হুবহু লিখে এন্টার চাপুন। খেয়াল করুন এখানে RD/S/Q ফাইল মুছে ফেলার সংকেত আর পরের অংশটি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফোল্ডারের ডিরেক্টরি। সংকেত লেখায় কোনো ভুল হলে কাজটি হবে না, তাই বুঝে-শুনে প্রয়োগ করুন। কাজটি সফল হলে এবার টাস্ক ম্যানেজারে ফিরে আসুন। এখানে File থেকে New Task (Run…)-এ ক্লিক করুন। Create New Task-এর ঘরে explorer.exe লিখে এন্টার চাপুন। তাহলে এক্সপ্লোরার চালু হয়ে যাবে আর কম্পিউটারের অন্যান্য কাজ করা যাবে।

পেনড্রাইভ ফরম্যাট না হলে (If the pen drive is not formatted)

 পেনড্রাইভ ফরম্যাট না হলে
 (If the pen drive is not formatted)

কম্পিউটারের অনেক কাজেই পেনড্রাইভের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। ভাইরাসে সংক্রমিত হলে অনেক সময় পেনড্রাইভ ফরম্যাটও করা যায় না। এমন হলে সেটি ভিন্ন উপায়ে ফরম্যাট করে নেওয়া সম্ভব।

এ জন্য যা করতে হবে

প্রথমে পেনড্রাইভ কম্পিউটারে যুক্ত করে সেটির ড্রাইভে মাউসের ডান বোতামে ক্লিক করে Format-এ ক্লিক করে ফরম্যাট করার চেষ্টা করে দেখুন সেটি ফরম্যাট হয় কি না। না হলে Win key + R একসঙ্গে চেপে রান প্রোগ্রাম চালু করুন। এখানে cmd লিখে এন্টার বোতাম চাপতে হবে। কমান্ড প্রম্পট চালু হলে এখানে format লিখে একটা স্পেস দিয়ে F: লিখে এন্টার চাপুন। এখানে F: হবে কম্পিউটারে পাওয়া আপনার পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটার। প্রথমবার এন্টার চেপে পরে আরেকবার এন্টার চাপতে হবে। এভাবে পেনড্রাইভ ফরম্যাট করতে সময় বেশি লাগবে কিন্তু সত্যিকারের কাজটি হবে। যদি ওপরের নিয়মে সন্তুষ্ট হতে না পারেন, তাহলে আপনার জন্য ভালো হবে আনলকার সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা। https://goo.gl/G0h8zK ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে ৩৯৪ কিলোবাইটের সফটওয়্যারটি নামিয়ে ইনস্টল করে নিন। এবার পেনড্রাইভের ড্রাইভ লেটারে মাউসের ডান বোতাম চেপে Unlocker-এ ক্লিক করে পরের বার্তায় Yes চাপুন। আনলকের জন্য উইন্ডো চালু হবে এবং বলবে No action থেকে Delete বেছে নিয়ে ওকে বা আনলক বোতাম চাপুন। পেনড্রাইভ কোনো কারণে লক হয়ে গেলে এটি করার প্রয়োজন হবে। যদি লক না থাকে তাহলে একটি বার্তার মাধ্যমে তা জানিয়ে দেবে। আনলক খুলে নিয়ে পরের বার আবার চেষ্টা করলে পেনড্রাইভ ফরম্যাট করা যাবে।

মাউসের ক্লিকেই চালু হবে কম্পিউটার (The computer will start with the mouse click)

মাউসের ক্লিকেই চালু হবে কম্পিউটার 
(The computer will start with the mouse click)

সাধারণত সিপিইউর পাওয়ার বোতাম চেপেই ডেস্কটপ কম্পিউটার চালু করতে হয়। অনেক সময় পাওয়ার বোতাম কাজ না করলে সেটির বিকল্প হিসেবে কি-বোর্ড বা মাউস ব্যবহার করেও কম্পিউটার চালু করা যাবে। গিগাবাইট মাদারবোর্ডে এমন সুবিধা আছে। তা ছাড়া যেসব মাদারবোর্ডের বায়োস মেনুত পাওয়ার অন বাই কি-বোর্ড/মাউস সুবিধা আছে সেটিতেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে কাজটি করা যাবে।

যা করতে হবে
কম্পিউটার চালু করে Delete বোতাম চেপে বায়োসে অপশনে সচল করুন। এখানে Power Management Setup অপশন নির্বাচন করে এন্টার বোতাম চাপুন। তালিকার বিভিন্ন সেবা থেকে Power on by Mouse নির্বাচন করে এন্টার চাপুন। এখানে Double Click নির্বাচন করে দিলে মাউসের দুই ক্লিক করেই কম্পিউটার চালু করা যাবে। এই তালিকা থেকে যদি Power on by Keyboard নির্বাচন করেন, তাহলে কি-বোর্ডের নির্দিষ্ট বোতাম চেপে কম্পিউটার চালু করা যাবে। তাই Power on by Keyboard থেকে Password নির্বাচন করুন। তাহলে এটির নিচে KB Power on Password আসবে। সেটিতে এন্টার চেপে পরপর দুবার পাসওয়ার্ড লিখে দিলে পাসওয়ার্ড ছাড়া কেউ কম্পিউটার চালু করতে পারবে না। Power on by Keyboard থেকে Keyboard 98 নির্বাচন করলে কি-বোর্ডের যেকোনো বোতাম চেপে কম্পিউটার চালু করা যাবে। কাজ শেষে F10 বোতাম চেপে পরের বার্তায় এন্টার চেপে সেটিংস সংরক্ষণ করুন। এখন কম্পিউটার শাটডাউন করে কিছুক্ষণ পর মাউসে ক্লিক বা কি-বোর্ডে যেকোনো বোতাম চাপলেই কম্পিউটার চালু হবে।

স্টার্ট মেনু থেকেই গুগলে তথ্য খোঁজা (Searching for Google's information from the Start menu)

 স্টার্ট মেনু থেকেই গুগলে তথ্য খোঁজা
 (Searching for Google's information from the Start menu)

দরকারি নানা তথ্য খুঁজতে এবং নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর জ্ঞান অন্বেষণের জন্য আমরা ওয়েবে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় তা খুঁজে থাকি। এ ক্ষেত্রে ওই সার্চ ইঞ্জিনের নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে আলাদা করে তথ্য খুঁজে নিতে হয়। ছোট একটি কাজের মাধ্যমেই তাদের নির্দিষ্ট ওয়েব ঠিকানায় না গিয়ে উইন্ডোজের স্টার্ট মেনুতে সেই বিষয় লিখে এন্টার চাপলেই আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য খুঁজে পাবেন।

যা করবেন

এমনটি করা যায় উইন্ডোজ ভিস্তা ও ৭ অপারেটিং সিস্টেমে। কাজটি করতে start থেকে run গিয়ে gpedit.msc লিখে এন্টার করুন। এখানে বামের তালিকার User Configuration থেকে Administrative Templates/Windows Components গিয়ে Instant Search-এ ক্লিক করুন। এবার ডানের তালিকা থেকে custom instant search internet search provider-এ দুই ক্লিক করে সেটি খুলুন। এখানে enabled বোতাম নির্বাচন করে The String or dll resource…Instant Search Menu ঘরে Search at Google লিখুন। The URL to use when… indicated by%w ঘরে হুবুহু www.google.com/search?q=%w ঠিকানা লিখে apply এবং ok চেপে বের হয়ে আসুন। এবার run-এ গিয়ে cmd লিখে এন্টার চেপে কমান্ড প্রম্পট চালু করুন। এখানে gpupdate/force লিখে এন্টার চাপুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে কাজটি সম্পন্ন হয়ে একটি বার্তার মাধ্যমে তা জানিয়ে দিবে। এবার কাজটি পরীক্ষা করার জন্য স্টার্ট মেনুর Search ঘরে কাঙ্ক্ষিত বিষয় লিখে Search at Google বোতাম চাপুন। উইন্ডোজের ডিফল্ট ব্রাউজার খুলে যাবে এবং ওই বিষয়ের তথ্য সরাসরি গুগল থেকে খুঁজে নিয়ে সেটার ফলাফল দেখাবে। একই নিয়মে ইয়াহু বা উইকিপিডিয়ার তথ্য খুঁজে নেওয়া যায়। এজন্য The URL to use when… indicated by %w ঘরে ইয়াহুর জন্য search.yahoo.com/search?p=%w উইকিপিডিয়ার জন্য http://en.wikipedia.org/wiki/%w আলাদা ওয়েব ঠিকানা লিখে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করলে দ্রুত তথ্য খুঁজে নেয়া যাবে।

কম্পিউটার সিস্টেমের জায়গা বাঁচান (Save the place of computer system)

কম্পিউটার সিস্টেমের জায়গা বাঁচান
 (Save the place of computer system)

কম্পিউটারে কাজ করতে গিয়ে কখনো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে অর্থাৎ ক্রাশ করলে কম্পিউটারে সিস্টেমে ‘ডাম্প’ ফাইল তৈরি করে। যদি ডাম্প ফাইল তৈরি হওয়া বন্ধ করে দেওয়া যায়, তাহলে সিস্টেমের অযথা জায়গা নষ্ট না হয়ে অনেক জায়গা খালি থাকবে। উইন্ডোজ ভিস্তা এবং ৭ অপারেটিং সিস্টেমে এ কাজটি সহজে করা যায়। এ জন্য Start থেকে Control Panel চালু করে Search বক্সে Advanced লিখুন। সার্চের ফলাফল থেকে View advanced system settings-এ ক্লিক করুন। নিচের Startup and Recovery থেকে Settings-এ ক্লিক করুন। এখানে Write debugging information থেকে None নির্বাচন করে ok চেপে বের হয়ে আসুন। তাহলে আর ডাম্প ফাইল তৈরি না হয়ে সিস্টেমের অযথা নষ্ট হওয়া জায়গা বেঁচে যাবে।

যখন প্রয়োজন তখনই বন্ধ কম্পিউটার (Closed computer only when needed)

যখন প্রয়োজন তখনই বন্ধ কম্পিউটার 
(Closed computer only when needed)

অনেক সময় কম্পিউটারে অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যান করা বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নামিয়ে নিতে (ডাউনলোড) সময় বেশি লাগলে বা অন্য কোনো কাজ শেষে নির্দিষ্ট সময়ে কম্পিউটার বন্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। চাইলেই নির্দিষ্ট কাজ শেষে কম্পিউটারকে সময়মতো বন্ধ করার (শাটডাউন) তাগিদ দেওয়া যাবে।

যা করবেন: এটি সহজে করা যায় উইন্ডোজের টাস্ক শিডিউলার ব্যবহার করে। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ভিস্তা ও ৭ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য স্টার্ট মেনু থেকে কন্ট্রোল প্যানেল চালু করুন। Administrative Tools-এ ক্লিক করুন। তালিকা থেকে Task Scheduler খুঁজে নিয়ে সেটিতে দুবার ক্লিক করে খুলুন। Action থেকে Create Basic Task নির্বাচন করে সেটি খুলুন। Name এর ঘরে PC Shutdown লিখে Description-এর ঘরে Shutdown my computer automatically at 04:21 pm বা আপনার পছন্দমতো যেকোনো বার্তা এখানে লিখে Next বোতাম চাপুন। Task Trigger পর্দা চালু হবে। এখানে When do you want the task to start? তালিকা থেকে ঠিক কখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার বন্ধ করতে চান সেটি নির্বাচন করুন। যদি একবারই কাজটি করতে চান, তাহলে এখানের তালিকা থেকে One time নির্বাচন করে Next চাপুন। Start-এ তারিখ নির্ধারণ করে কোন সময় বন্ধ করতে চান সেটি নির্বাচন করে আবার Next চাপুন। এবার Start a program নির্বাচন করে Program/script ঘরে C:\\\/Windows\/ystem32\/hutdown.exe লিখুন। Add arguments এর ঘরে /s লিখে Next চাপুন। পরের পর্দায় ওপরে যে যে কাজ করা হয়েছে, সে কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেখাবে। সবকিছু ঠিকভাবে দেখে নিয়ে Finish বোতাম চাপুন। তাহলে যখন দরকার, ঠিক তখনই কম্পিউটার বন্ধ হবে।

কম্পিউটার দ্রুত চালু এবং বন্ধ করতে (To quickly turn on and off the computer)

কম্পিউটার দ্রুত চালু এবং বন্ধ করতে 
(To quickly turn on and off the computer)

অনেক সময় ধারণক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করলে কম্পিউটার চালু এবং বন্ধ হতে অধিক সময় নিতে পারে। এতে সময় এবং কাজের আগ্রহ বাধাগ্রস্ত হয়। কম্পিউটারের ছোট কিছু সেটিংসের পরিবর্তন করলে চালু এবং বন্ধ হওয়ার সময় কমানো যাবে।


যা করবেন

উইন্ডোজ এক্সপির জন্য

স্টার্ট মেন্যু থেকে Run-এ গিয়ে msconfig লিখে প্রবেশ করুন। Startup ট্যাব থেকে অপ্রয়োজনীয় স্টার্টআপ আইটেমের টিক চিহ্ন তুলে দিন। এই তালিকার আইটেমগুলো কম্পিউটার চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোড হয়। তাই অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম লোড হওয়াতে পিসি চালু হতে সময় বেশি নিতে থাকে যে প্রোগ্রামগুলোর প্রয়োজন নেই সেটার ডান দিকের টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে OK এবং Apply করে বের হয়ে আসুন। একটি বার্তা দিয়ে রিস্টার্ট করতে বললে Exit Without Restart নির্বাচন করে সেটি এড়িয়ে যান। এবার Notepad চালু করে del c:windows/prefetchntosboot *.*  (*.* হচ্ছে এ-সংক্রান্ত সব ফাইল মুছে ফেলবে) কোডটা লিখে ফাইল থেকে Save As চেপে ntosboot.bat নামে ডেস্কটপে সংরক্ষণ করুন। এবার ডেক্সটপ থেকে ntosboot.bat ফাইলটিকে কপি করে c:/ ড্রাইভে পেস্ট করুন।

এবার স্টার্ট থেকে Run গিয়ে gpedit.msc লিখে প্রবেশ করুন। Computer Configuration থেকে Windows Settings-এ ক্লিক করে Scripts (Startup/Shutdown) এ আবার ক্লিক করে সেটি খুলুন। ডান পাশের Shutdown-এ ডাবল ক্লিক করে সেটি খুলে Add-এ ক্লিক করে Browse থেকে c:/ ড্রাইভে যেয়ে ntosboot.bat ফাইলটি দেখিয়ে দিয়ে OK চেপে Apply-এ ক্লিক করে আবার OK চেপে বের হয়ে আসুন। এবার Run-এ গিয়ে devmgmt.msc লিখে প্রবেশ করুন। এখানে IDE ATA/ATAPI controllers-এ ডাবল ক্লিক করে Primary IDE Channel-এ ডাবল ক্লিক করে সেটি খুলুন। Advanced Settings থেকে Device 1 এর Device Type-None নির্বাচন করে OK চেপে বের হয়ে আসুন। এরপরের Secondary IDE channel-এ দুবার ক্লিক করে সেটি খুলে একই নিয়মে Advanced Settings থেকে Device 1 এর Device Type-None নির্ধারণ করে OK চেপে বের হয়ে আসুন। সব কাজ যত্ন সহকারে করে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিতে হবে। এখন থেকে প্রত্যেকবার কম্পিউটার চালু এবং বন্ধ হতে আগের তুলনায় অনেক কম সময়লাগবে।

উইন্ডোজ ৮–এর কি-বোর্ড শর্টকাট ( Windows 8 keyboard shortcuts)

উইন্ডোজ ৮–এর কি-বোর্ড শর্টকাট

(Windows 8 keyboard shortcuts)

মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে উইন্ডোজ ৮ অন্যতম। যে কাজ মাউসে ক্লিক করে বা নির্দিষ্ট কৌশল অবলম্বন করে করা যায় সেই কাজ খুব সহজেই করা যাবে যদি উইন্ডোজের কি কি-বোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করে করা যায়। উইন্ডোজ লোগো-সংবলিত কিসহ (Win Key) নির্দিষ্ট কি চাপলে প্রয়োজনীয় কাজ করা যাবে দ্রুত। উইন্ডোজ কি একবার চেপে কোনো কিছু লিখলে ওই সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে নেওয়া যাবে। এ ছাড়া আরও কিছু দরকারি শর্টকাট কি দেওয়া হলো—

C: চার্ম মেনু চালু হয়ে Settings, Devices, Share and Search options দেখাবে
D: ডেস্কটপ চালু হবে
E: উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার চালু হবে (কম্পিউটার লোকেশন)
F: ফাইল খোঁজার ফলক চালু হবে
H: কোনো কিছু ভাগ করা (শেয়ার) উইন্ডো চালু হবে
I: কম্পিউটার বন্ধ করার সেটিংস চালু হবে
K: ডিভাইস ম্যানেজার চালু হবে
L: কম্পিউটার লক হয়ে যাবে
M: চালু থাকা সব উইন্ডো মিনিমাইজ হয়ে যাবে
O: ডিভাইসের পর্দার ঘোরানো লক ও আনলক হবে
P: প্রোজেক্টর বা বিকল্প কোনো যন্ত্র দেখানোর জন্য
Q: অ্যাপ্লিকেশন খোঁজার উইন্ডো চালু হবে
R: রান চালু হবে
U: Ease of Access Centre চালু হবে
V: বিজ্ঞপ্তি (নোটিফিকেশন) পর্যায়ক্রমে দেখাবে
W: সিস্টেম সেটিং খোঁজার উইন্ডো চালু হবে
X: দরকারি উইন্ডোজ টুলস চালু হবে
Z: ডান ক্লিক কনটেক্সট মেনু চালু হবে
+ ও -: উইন্ডোজের যেকোনো অংশকে জুম ও জুম ছাড়া দেখা যাবে
,: Aero peek চালু হবে
Enter: উইন্ডোজ ন্যারেটর (কথক) চালু হবে
PgUp PgDn: চলমান পর্দা ডানে-বাঁয়ে ঘোরানো যাবে

Tab: চালু থাকা অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে রোল আকারে দেখাবে

শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭

Windows 10 Free Download

Windows 10 Free Download
( উইন্ডোজ ১০ এখনো বিনা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে )

উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে ছাড়ার পর মাইক্রোসফট তা এক বছর পর্যন্ত বিনা মূল্যে হালনাগাদ করার সুযোগ দিয়েছিল উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ সংস্করণের বৈধ ব্যবহারকারীদের। অনেকেরই জানা আছে, সেই সুযোগ শেষ হয়েছে গত বছরের ২৯ জুলাই। এর মানে নতুন উইন্ডোজ ১০ বৈধভাবে ব্যবহার করতে হলে টাকা দিয়ে কিনতে হবে।

মজার ব্যাপার হলো, বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০ পাওয়ার সময়সীমা শেষ হলেও এই কথা মাইক্রোসফটের অ্যাকটিভেশন সার্ভার যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁদের হয়তো কেউ বলেনি! এখনো চাইলে উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেম থেকে উইন্ডোজ ১০ সিস্টেমে হালনাগাদ করা সম্ভব। বৈধ উইন্ডোজ ৭ চালিত দুটি নতুন ও পুরোনো ল্যাপটপ, উইন্ডোজ ৮ চালিত একটি কম্পিউটার এবং একাধিক ভার্চ্যুয়াল যন্ত্রে পরীক্ষা চালিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। সব কটি কম্পিউটারই ডিজিটাল লাইসেন্সের অধীনে সক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে।
আগে ‘গেট উইন্ডোজ ১০’ (Get windos 10 )  বা জিডবিøউএক্স নামের একটি ছোট অ্যাপের মাধ্যমে উপযুক্ত পুরোনো কম্পিউটারগুলো নতুন অপারেটিং সিস্টেমে হালনাগাদ করার সুযোগ ছিল। এখন অবশ্য সরাসরি সেই অ্যাপটি চালু নেই। যাঁদের উইন্ডোজ ৭ এবং ৮.১ সিস্টেম সক্রিয় এবং বৈধ লাইসেন্স রয়েছে, তাঁরা চাইলে নিচের ধাপ অনুসরণ করে উইন্ডোজ ১০ পেতে পারেন।

প্রথমেই যেতে হবে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ নামানোর  https://goo.gl/Sk2QwP   or,   https://www.microsoft.com/en-us/software-download/windows10    ওয়েব ঠিকানায়। তারপর নিচে থাকা Download tool now বোতামে ক্লিক করে উইন্ডোজ মিডিয়া ক্রিয়েশন টুলটি নামিয়ে ইনস্টল ও চালু করতে হবে। টুলটি চালু করে Upgrade this PC now অপশন নির্বাচন করে নেক্সট চাপতে হবে। তখন উইন্ডোজ ১০ সিস্টেমের সব ফাইল নামতে শুরু করবে, এর আকার সিস্টেম অনুযায়ী ৩-৪ গিগাবাইট পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার রিস্টার্ট নেওয়ার বার্তা দেবে। তখন পর্দায় আসা নির্দেশনা নিজের প্রয়োজন অনুসারে অনুসরণ এবং নির্বাচন করতে হবে। বলে রাখা ভালো, যদি সিস্টেম ড্রাইভে রাখা সমস্ত ফাইল, অ্যাপস এবং সেটিংস আগের মতোই রাখতে চান, তাহলে সতর্কতার সঙ্গে অপশনটি নির্বাচন করে দিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে বেশ কিছু সময় লাগতে পারে। এটা আসলে নির্ভর করে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইটথ এবং সিস্টেমের ক্ষমতার ওপর।
ইনস্টলের প্রক্রিয়া শেষ হলে স্টার্ট বোতামে ক্লিক করে Settings>Update & Security>Activation মেনুতে গিয়ে নিজের ডিজিটাল লাইসেন্স সক্রিয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর মানে হলো, এই কম্পিউটারে ভবিষ্যতে যতবার ইচ্ছা উইন্ডোজ ১০ মুছে ফেলে পুনরায় ইনস্টল করা যাবে কোনো প্রডাক্ট কি ছাড়াই। এভাবে সর্বশেষ উইন্ডোজ ১০ ক্রিয়েটরস আপডেট সংস্করণ বিনা মূল্যেই পাওয়া যাবে।

শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭

পেনড্রাইভে ডেটা পার্টিশন করে রাখুন

পেনড্রাইভে ডেটা পার্টিশন করে রাখুন


বহনযোগ্য বা কম্পিউটারের সিপিইউতে থাকা হার্ডড্রাইভে আলাদা পার্টিশন করে বিভিন্ন ধরনের ডেটাকে সুবিধা অনুযায়ী গুছিয়ে রাখা যায়। আলাদা এই পার্টিশনগুলো প্রতিটি ড্রাইভ নামেও পরিচিত। ব্যবহারকারী সুবিধামতো গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বা সফটওয়্যারকে এক ড্রাইভে আবার সিনেমা কিংবা ভিডিও ফাইলকে আরেক ড্রাইভে রাখতে পারেন। মূলত সাজানো-গোছানো থাকলে ডেটা সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। ডেটা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় মাধ্যম ইউএসবি পেনড্রাইভেও যদি পার্টিশন করা যায় কেমন হয় তাহলে? কাজের সুবিধার জন্য অনেকেই ১৬ বা ৩২ জিবি কিংবা তারও বেশি ধারণক্ষমতার পেনড্রাইভ ব্যবহার করেন। তাদের কাজকে আরও সুবিধাজনক করতে আলাদা পার্টিশন করে তাতে ডেটা রেখে ব্যবহার করলে কাজ আরও সাজানো-গোছানো হবে।


যা করবেন

ইউএসবি পেনড্রাইভকে পার্টিশন করতে চাইলে উইন্ডোজ দশের ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট সুবিধাটি ব্যবহার করতে হবে। উইন্ডোজ দশের বার্ষিকী (অ্যানিভার্সারি) হালনাগাদ এবং তার আগের সংস্করণে ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট থেকে ইউএসবি ড্রাইভকে পার্টিশন করার সুবিধাটি নেই। তবে আপনি চাইলে এখন উইন্ডোজ দশের ক্রিয়েটর আপডেট এবং এর পরের সব সংস্করণ থেকে USB পেনড্রাইভ পার্টিশন করতে পারবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সংস্করণ থেকে পেনড্রাইভ পার্টিশন করতে চাইলে কমান্ড প্রম্পট বা তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।


ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট থেকে

পেনড্রাইভে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ডেটাকে অন্য জায়গায় ব্যাকআপ রাখুন। এরপর আপনার ইউএসবি পেনড্রাইভকে উইন্ডোজ ১০ ক্রিয়েটরস আপডেট (v1703) বা এর পরের সংস্করণ ব্যবহৃত কম্পিউটারে সংযোগ করুন। এবার ডেস্কটপের This PC-তে ক্লিক করে পেনড্রাইভের ওপর মাউস নিয়ে গিয়ে ডান ক্লিক করে Properties-এ ক্লিক করুন। এখানে ফাইল সিস্টেম যদি NTFS না দেখিয়ে FAT32 দেখায় তাহলে সেটিকে ফরম্যাট করে NTFS করে দিতে হবে। ফাইল সিস্টেম NTFS না হলে প্রপার্টিজের উইন্ডো কেটে দিয়ে পেনড্রাইভের আইকনে আবার ডান ক্লিক করে Format নির্বাচন করে File System হিসেবে NTFS নির্বাচন করে সেটি আবার ফরম্যাট করবেন। ফরম্যাট শেষ হলে স্টার্ট মেনুতে ডান ক্লিক করুন। Disk Management খুঁজে নিয়ে সেটি ক্লিক করে খুলুন। ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট উইন্ডোতে ইউএসবি ড্রাইভের ওপর ডান ক্লিক করুন এবং তারপর Shrink Volume অপশনে ক্লিক করুন। যদি ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি FAT ফরম্যাটের হয় তবে শ্রিঙ্ক ভলিউম অপশনটি দেখাবে না। শ্রিঙ্ক ডায়ালগ খুললে Enter the amount of space to shrink in MB ঘরে নতুন পার্টিশনের জন্য যতখানি জায়গা চান সেটি মেগাবাইট আকারে লিখুন। আপনার পেনড্রাইভ যদি ১৬ জিবির হয় তাহলে দুটি পার্টিশনের জন্য এখানে 7168 বা ওপরের ঘরে দেখানো মেগাবাইটের ওপর ভিত্তি করে লিখুন। এবার নিচের Shrink বোতাম চাপুন। এই অপশন আপনার ইউএসবি ড্রাইভে unallocated স্থান তৈরি করবে। এখন ইউএসবিতে নতুন নির্মিত unallocated অংশে ডান ক্লিক করে আবার New Simple Volume অপশনে ক্লিক করুন। খেয়াল করুন, আপনি কেবল ইউএসবি ড্রাইভের unallocated স্থানটিতেই ডান ক্লিক করছেন কি না। একবার New Simple Volume উইজার্ডটি পর্দায় দেখালে Next বোতামে ক্লিক করুন। এখানে আবার Next বোতাম চাপুন। এবার আপনার ইউএসবি ড্রাইভের নতুন পার্টিশনের জন্য ড্রাইভ লেটার নির্বাচন করুন। এরপর Next বোতামে ক্লিক করুন। আবার শেষ পর্দার Next বোতাম চাপলে নতুন পার্টিশন তৈরি হয়ে যাবে। এভাবে যতগুলো পার্টিশন তৈরি করবেন ততগুলোর জন্য আবার ওপরের ধাপ অনুসরণ করতে হবে। পার্টিশন ডিলিট করতে চাইলেই ডিস্ক ম্যানেজমেন্টে গিয়ে Disk 2 Removable-এ থাকা ড্রাইভগুলো থেকে যেটি ডিলিট করতে চান সেটিতে রাইট ক্লিক করে Delete Volume চাপলে সেটি ডিলিট হয়ে যাবে।

by-prothom-alo

উইন্ডোজ দশের পর্দা কালো হলে

উইন্ডোজ দশের পর্দা কালো হলে

অনেক সময় উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারের পর্দা হুট করেই কালো হয়ে যায়। এ ছাড়া কম্পিউটার চালু হওয়ার পর লগইন করলেও উইন্ডোজের পর্দা আর দেখা যায় না, কালো হয়েই থাকে। এ রকম হলে মাউসের কার্সর আর কোনো কাজ করে না। এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে কিছু কাজ করতে হবে।

লগইন করার পর হলে : উইন্ডোজে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পরই কালো পর্দার এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এমন হলে কম্পিউটারের সঙ্গে লাগানো সব এক্সটার্নাল যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে রিস্টার্ট করুন। যদি পর্দা সচল হয় তবে জানতে পারবেন কোন যন্ত্রের জন্য চালু হচ্ছিল না। এভাবে যন্ত্রাংশ খুলে এবং লাগিয়ে পরীক্ষা নিলে কোন কারণে এমন হচ্ছে তা জানা যাবে। সেই যন্ত্রাংশের জন্য এমন হলে সেটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যন্ত্রাংশ খোলামেলায় যদি সমাধান না আসে তবে কম্পিউটার সেফ মুডে চালাতে হবে। রিস্টার্ট চেপে কিবোর্ডের SHIFT চেপে রাখুন। অনেকগুলো অপশনসহ পর্দা আসবে। সেখানে Safe mode with Networking নির্বাচন করে প্রবেশ করুন। উইন্ডোজের পর্দা অন্য কোনো যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত আছে কি না, সেটি দেখতে Control Panel থেকে Display নির্বাচন করুন। পর্দা উইন্ডোর বাঁ পাশের তালিকা থেকে Project to a Second Display নির্বাচন করুন। একটি সাইড বারে যুক্ত থাকা কম্পিউটার ডিসপ্লেগুলো দেখাবে। এখানে PC Screen Only নির্বাচন করে দিন।

ডিভাইস ম্যানেজার থেকে: কম্পিউটার চালু হলে স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে devmgmt লিখে প্রবেশ করুন। ডিভাইস ম্যানেজার খুললে তালিকার Display Adapters এর ওপর দুবার ক্লিক করে খুলে নিন। Display Adaptor Driver এ ইনস্টল থাকা যন্ত্রে ডান ক্লিক করে Uninstall চাপুন। কম্পিউটার পুনরায় চালু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবার ডিসপ্লে ড্রাইভার সফটওয়্যার ইনস্টল হয়ে যাবে। এটি কালো পর্দা দূর করার অন্যতম মাধ্যম।

Windows 10 Free Download

Windows 10 Free Download
( উইন্ডোজ ১০ এখনো বিনা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে )

উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে ছাড়ার পর মাইক্রোসফট তা এক বছর পর্যন্ত বিনা মূল্যে হালনাগাদ করার সুযোগ দিয়েছিল উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ সংস্করণের বৈধ ব্যবহারকারীদের। অনেকেরই জানা আছে, সেই সুযোগ শেষ হয়েছে গত বছরের ২৯ জুলাই। এর মানে নতুন উইন্ডোজ ১০ বৈধভাবে ব্যবহার করতে হলে টাকা দিয়ে কিনতে হবে।

মজার ব্যাপার হলো, বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০ পাওয়ার সময়সীমা শেষ হলেও এই কথা মাইক্রোসফটের অ্যাকটিভেশন সার্ভার যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁদের হয়তো কেউ বলেনি! এখনো চাইলে উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেম থেকে উইন্ডোজ ১০ সিস্টেমে হালনাগাদ করা সম্ভব। বৈধ উইন্ডোজ ৭ চালিত দুটি নতুন ও পুরোনো ল্যাপটপ, উইন্ডোজ ৮ চালিত একটি কম্পিউটার এবং একাধিক ভার্চ্যুয়াল যন্ত্রে পরীক্ষা চালিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। সব কটি কম্পিউটারই ডিজিটাল লাইসেন্সের অধীনে সক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে।
আগে ‘গেট উইন্ডোজ ১০’ (Get windos 10 )  বা জিডবিøউএক্স নামের একটি ছোট অ্যাপের মাধ্যমে উপযুক্ত পুরোনো কম্পিউটারগুলো নতুন অপারেটিং সিস্টেমে হালনাগাদ করার সুযোগ ছিল। এখন অবশ্য সরাসরি সেই অ্যাপটি চালু নেই। যাঁদের উইন্ডোজ ৭ এবং ৮.১ সিস্টেম সক্রিয় এবং বৈধ লাইসেন্স রয়েছে, তাঁরা চাইলে নিচের ধাপ অনুসরণ করে উইন্ডোজ ১০ পেতে পারেন।
প্রথমেই যেতে হবে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ নামানোর  https://goo.gl/Sk2QwP   or,   https://www.microsoft.com/en-us/software-download/windows10    ওয়েব ঠিকানায়। তারপর নিচে থাকা Download tool now বোতামে ক্লিক করে উইন্ডোজ মিডিয়া ক্রিয়েশন টুলটি নামিয়ে ইনস্টল ও চালু করতে হবে। টুলটি চালু করে Upgrade this PC now অপশন নির্বাচন করে নেক্সট চাপতে হবে। তখন উইন্ডোজ ১০ সিস্টেমের সব ফাইল নামতে শুরু করবে, এর আকার সিস্টেম অনুযায়ী ৩-৪ গিগাবাইট পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার রিস্টার্ট নেওয়ার বার্তা দেবে। তখন পর্দায় আসা নির্দেশনা নিজের প্রয়োজন অনুসারে অনুসরণ এবং নির্বাচন করতে হবে। বলে রাখা ভালো, যদি সিস্টেম ড্রাইভে রাখা সমস্ত ফাইল, অ্যাপস এবং সেটিংস আগের মতোই রাখতে চান, তাহলে সতর্কতার সঙ্গে অপশনটি নির্বাচন করে দিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে বেশ কিছু সময় লাগতে পারে। এটা আসলে নির্ভর করে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইটথ এবং সিস্টেমের ক্ষমতার ওপর।
ইনস্টলের প্রক্রিয়া শেষ হলে স্টার্ট বোতামে ক্লিক করে Settings>Update & Security>Activation মেনুতে গিয়ে নিজের ডিজিটাল লাইসেন্স সক্রিয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর মানে হলো, এই কম্পিউটারে ভবিষ্যতে যতবার ইচ্ছা উইন্ডোজ ১০ মুছে ফেলে পুনরায় ইনস্টল করা যাবে কোনো প্রডাক্ট কি ছাড়াই। এভাবে সর্বশেষ উইন্ডোজ ১০ ক্রিয়েটরস আপডেট সংস্করণ বিনা মূল্যেই পাওয়া যাবে।






Facebook

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭

১০টি উইন্ডোজ রান  কমান্ড
দিন দিন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের রান প্রোগ্রামের ব্যবহার কমছে। তবু ব্যবহার করতে চাইলে এখানে প্রয়োজনীয় ১০টি রান শর্টকাট কমান্ড দেওয়া হলো। রান ডায়লগ বক্সে কমান্ডটি লিখে এন্টার করতে হবে।

  • ক্যালকুলেটরের জন্য কমান্ড হলো—calc
  • অন স্ক্রিন কি-বোর্ডের সচল করার জন্য কমান্ড—osk
  • ডেট অ্যান্ড টাইম ডায়ালগ বক্স চালু করার কমান্ড—timedate.cpl
  • ডাইরেক্ট এক্স ডায়াগনস্টিক টুল দেখার জন্য—dxdiag
  • সিস্টেম কনফিগারেশন ইউটিলিটি ডায়ালগ বক্স ওপেন করার জন্য—msconfig
  • গ্রুপ পলিসি এডিটর ডায়ালগ বক্স দেখার জন্য—gpedit.msc
  • মাইক্রোসফট পেইন্ট ডায়ালগ বক্স সচল করতে—mspaint
  • উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল সচল করতে—firewall.cpl
  • ইভেন্ট ভিউয়ার ডায়ালগ বক্স সচল করতে—eventvwr.msc
  • রিমোট ডেস্কটপ সচল করতে—mstsc

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

অফলাইনে ওয়েবপেজ দেখতে চাইলে


ইন্টারনেটে কোনো ওয়েবপেজ চাইলে পরবর্তী সময়ে সংযোগ ছাড়াই দেখা যায়। এ জন্য ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার বা ব্রাউজারে কিছু সেটিংস পাল্টে নিতে হবে। জনপ্রিয় দুই ইন্টারনেট ব্রাউজার গুগল ক্রোম ও মজিলা ফায়ারফক্সে কীভাবে কাজটি করবেন, তা-ই থাকছে এখানে।

গুগল ক্রোমের জন্য:
জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোমে আছে সাইট ক্যাশ করে রাখার সুবিধা। ঘণ্টা খানেক আগে যে ওয়েবপেজ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে দেখেছেন সেটি পরে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আবার দেখতে হলে প্রথমে গুগল ক্রোম চালু করুন। এবার ক্রোমের অমনি বক্স বা অ্যাড্রেস বারে ‘chrome://flags/#show-saved-copy’ লিখে এন্টার বোতাম চাপুন অথবা অমনি বক্সে chrome://flags লিখে এন্টার চেপে আবার কি-বোর্ডের CTRL+F বোতাম চাপুন। সার্চ বক্সে Enable Show Saved Copy Button লিখুন। Enable Show Saved Copy Button নামের হলুদ একটি ক্রোম ফ্লাগস দেখতে পাবেন। এর ঠিক নিচের ড্রপডাউন মেন্যুতে ক্লিক করে Enable: Primary নির্বাচন করুন। ব্যাস হয়ে গেল। কাজটি পরীক্ষা করতে চাইলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু থাকা অবস্থায় পছন্দের যেকোনো ওয়েবসাইট চালু করুন। এবার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কি-বোর্ডের CTRL‍+H বোতাম চাপুন। সাম্প্রতিক দেখা ওয়েবপেজগুলো এখানে পাবেন। এখানে থেকে যেকোনো লিংকে ক্লিক করলে This page is not available পাতায় Show saved copy নামে একটি নীল রঙের বোতাম পাবেন। এখানে ক্লিক করলেই ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই সংরক্ষিত পেজটি দেখতে পাবেন।

ফায়ারফক্সে সুবিধাটি পেতে হলে:
ক্রোম ব্রাউজারের মতো ফায়ারফক্সে আলাদা কোনো ফ্লাগ পাবেন না। তবে চিন্তার কিছু নেই। ফায়ারফক্স চালু করুন। অফলাইনে ওয়েবপেজ দেখতে হলে ওপরের ডান পাশের হ্যাম বার্গার মেন্যুতে (সমান্তরাল তিনটি দাগওয়ালা আইকন) ক্লিক করুন। এবার Developer বোতামে ক্লিক করে আবার তালিকার Work Offline-এ ক্লিক করুন। নিয়ম ঠিকঠাক অনুসরণ করলে ব্রাউজারের অনলাইনে থাকা পাতাগুলোকে ক্যাশে জমা করবে এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও সেই পাতাগুলো যখন খুশি দেখতে পাবেন। আগের মতোই অফলাইনে সাম্প্রতিক পাতাগুলো দেখতে কি-বোর্ডের CTRL+H বোতাম চেপে কাঙ্ক্ষিত লিংকে ক্লিক করলেই ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই সে ওয়েবপেজ দেখতে পারবেন।



গুগলে তথ্য খোঁজ কার্যকরী কৌশল


দুটি বা এর বেশি শব্দে উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করুন। যেমন “technology history”

শব্দ বিয়োগ
আপনি হয়তো একটি বিষয়ে গবেষণা করছেন, কিন্তু কোনো একটা বিশেষ অংশ বাদ দিতে চান। সে ক্ষেত্রে বিয়োগ চিহ্নের (-) ব্যবহার হলো সমাধান। যেমন technolgy history -calculator
নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে খোঁজ
কোনো বিষয় নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটে খুঁজতে চাইছেন। কিন্তু ওই সাইটে সার্চ সুবিধা নেই, সে ক্ষেত্রে লিখুন এভাবে “technolgy column” site:prothom-alo.com
একই রকম বা সমার্থক শব্দ
যে শব্দ বা দু-তিনটি শব্দ দিয়ে তথ্য খোঁজ করছেন, তার সমার্থক বা প্রতিশব্দের তথ্যও যাতে পেতে পারেন সে জন্য শব্দের আগে টিল্ড () চিহ্ন বসিয়ে দিন। যেমন ..technology facts
নির্দিষ্ট ঘরানার ফাইল
কোনো বিষয়ের ওয়ার্ড ডকুমেন্ট কিংবা পাওয়ার পয়েন্ট ফাইল খুঁজতে চাইলে ফাইলের ধরন উল্লেখ করে দিতে হবে। যেমন “laptop computer” filetype:ppt
এটা অথবা ওটা
গুগলে যে শব্দ দিয়ে খোঁজ করবেন, সেই বিষয়ের তথ্যই গুগল খুঁজে দেবে। যদি দুই ধরনের বিষয় খুঁজতে চান তবে শব্দের মাঝখানে or বসিয়ে দিন। যেমন technology trend or technology business
সংখ্যা সীমা
কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদকাল কিংবা মূল্যমানের সীমার মধ্যে তথ্য খুঁজতে চান, তবে তা উল্লেখ করে দিন। যেমন mobile user 2000..2016 কিংবা smartphone 10000..25000
ক্যালকুলেটর
গুগলের সার্চবারকে সরাসরি ক্যালকুলেটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এখানেই হিসাব কষা যাবে। যেমন 13.5*1490
শব্দের সংজ্ঞা
কোনো কিছুর সংজ্ঞা জানতে শব্দের আগে difine লিখে দিতে হবে। যেমন define:digital device
ব্লগের তথ্য
নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্লগ লেখকেরা কী লিখেছেন বা ব্লগসাইটগুলোতে সেটি নিয়ে কী আলোচনা হচ্ছে, সেসব তথ্য পেতে লিখতে হবে এভাবে- stress management:blogs
সময় বা আবহাওয়া
কোনো স্থানের তখনকার সময় বা আবহাওয়ার তথ্য জানতে শুধু লিখে দিন-time in Chittagong
তুলনা বা একই রকম জিনিস
একটা জিনিসের সঙ্গে আরেকটার তুলনা করতে better than, আবার একই রকম কিছু খুঁজতে reminds me of ব্যবহার করতে পারেন। যেমন “better than plastic”. “reminds me of the Beatles” অথবা “sounds like drama”
সূত্র: গুগল ডটকম ও হাবস্পট ডটকম


এক্সপ্লোরারেই কমান্ড


ইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের  উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে যোগ হয়েছে নতুন অনেক সুবিধা। এক্সপ্লোরার থেকে এখন চাইলেই Run-এর কাজগুলো করা যাবে। এ জন্য উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার খুলে সেটির অ্যাড্রেসবারে যেকোনো রান কমান্ড লিখে এন্টার করলেই তা চালু হবে। কিছু প্রয়োজনীয় রান কমান্ড দেওয়া হলো এখানে:


lwrite—ওয়ার্ড প্যাড

losk—পর্দার কি-বোর্ড
lpaint—পেইন্ট অ্যাপ
lsndvol—ভলিউম কন্ট্রোলার
lstikynot—স্টিকি নোট
ltaskmgr—টাস্ক ম্যানেজার
lregedit—রেজিস্ট্রি এডিটর
lcontrol—কন্ট্রোল প্যানেল
lcmd—কমান্ড প্রম্পট উইন্ডো
lcalc—ক্যালকুলেটর অ্যাপ
lcleanmgr—ডিস্ক ক্লিনআপ ইউটিলিটি
lexplorer—নতুন এক্সপ্লোরার
lmsinfo32—সিস্টেম ইনফরমেশন টুল
ldevmgmt.msc—ডিভাইস ম্যানেজার
lwmplayer—উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার
ldxdiag—ডাইরেক্টএক্স ডায়াগনস্টিক টুল
lsnippingtool—স্ক্রিনশট নেওয়ার অ্যাপ
lcompmgmt.msc—কম্পিউটার ম্যানেজমেন্ট কনসোল