শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭

পেনড্রাইভে ডেটা পার্টিশন করে রাখুন

পেনড্রাইভে ডেটা পার্টিশন করে রাখুন


বহনযোগ্য বা কম্পিউটারের সিপিইউতে থাকা হার্ডড্রাইভে আলাদা পার্টিশন করে বিভিন্ন ধরনের ডেটাকে সুবিধা অনুযায়ী গুছিয়ে রাখা যায়। আলাদা এই পার্টিশনগুলো প্রতিটি ড্রাইভ নামেও পরিচিত। ব্যবহারকারী সুবিধামতো গুরুত্বপূর্ণ ডেটা বা সফটওয়্যারকে এক ড্রাইভে আবার সিনেমা কিংবা ভিডিও ফাইলকে আরেক ড্রাইভে রাখতে পারেন। মূলত সাজানো-গোছানো থাকলে ডেটা সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। ডেটা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় মাধ্যম ইউএসবি পেনড্রাইভেও যদি পার্টিশন করা যায় কেমন হয় তাহলে? কাজের সুবিধার জন্য অনেকেই ১৬ বা ৩২ জিবি কিংবা তারও বেশি ধারণক্ষমতার পেনড্রাইভ ব্যবহার করেন। তাদের কাজকে আরও সুবিধাজনক করতে আলাদা পার্টিশন করে তাতে ডেটা রেখে ব্যবহার করলে কাজ আরও সাজানো-গোছানো হবে।


যা করবেন

ইউএসবি পেনড্রাইভকে পার্টিশন করতে চাইলে উইন্ডোজ দশের ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট সুবিধাটি ব্যবহার করতে হবে। উইন্ডোজ দশের বার্ষিকী (অ্যানিভার্সারি) হালনাগাদ এবং তার আগের সংস্করণে ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট থেকে ইউএসবি ড্রাইভকে পার্টিশন করার সুবিধাটি নেই। তবে আপনি চাইলে এখন উইন্ডোজ দশের ক্রিয়েটর আপডেট এবং এর পরের সব সংস্করণ থেকে USB পেনড্রাইভ পার্টিশন করতে পারবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সংস্করণ থেকে পেনড্রাইভ পার্টিশন করতে চাইলে কমান্ড প্রম্পট বা তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।


ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট থেকে

পেনড্রাইভে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ডেটাকে অন্য জায়গায় ব্যাকআপ রাখুন। এরপর আপনার ইউএসবি পেনড্রাইভকে উইন্ডোজ ১০ ক্রিয়েটরস আপডেট (v1703) বা এর পরের সংস্করণ ব্যবহৃত কম্পিউটারে সংযোগ করুন। এবার ডেস্কটপের This PC-তে ক্লিক করে পেনড্রাইভের ওপর মাউস নিয়ে গিয়ে ডান ক্লিক করে Properties-এ ক্লিক করুন। এখানে ফাইল সিস্টেম যদি NTFS না দেখিয়ে FAT32 দেখায় তাহলে সেটিকে ফরম্যাট করে NTFS করে দিতে হবে। ফাইল সিস্টেম NTFS না হলে প্রপার্টিজের উইন্ডো কেটে দিয়ে পেনড্রাইভের আইকনে আবার ডান ক্লিক করে Format নির্বাচন করে File System হিসেবে NTFS নির্বাচন করে সেটি আবার ফরম্যাট করবেন। ফরম্যাট শেষ হলে স্টার্ট মেনুতে ডান ক্লিক করুন। Disk Management খুঁজে নিয়ে সেটি ক্লিক করে খুলুন। ডিস্ক ম্যানেজমেন্ট উইন্ডোতে ইউএসবি ড্রাইভের ওপর ডান ক্লিক করুন এবং তারপর Shrink Volume অপশনে ক্লিক করুন। যদি ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি FAT ফরম্যাটের হয় তবে শ্রিঙ্ক ভলিউম অপশনটি দেখাবে না। শ্রিঙ্ক ডায়ালগ খুললে Enter the amount of space to shrink in MB ঘরে নতুন পার্টিশনের জন্য যতখানি জায়গা চান সেটি মেগাবাইট আকারে লিখুন। আপনার পেনড্রাইভ যদি ১৬ জিবির হয় তাহলে দুটি পার্টিশনের জন্য এখানে 7168 বা ওপরের ঘরে দেখানো মেগাবাইটের ওপর ভিত্তি করে লিখুন। এবার নিচের Shrink বোতাম চাপুন। এই অপশন আপনার ইউএসবি ড্রাইভে unallocated স্থান তৈরি করবে। এখন ইউএসবিতে নতুন নির্মিত unallocated অংশে ডান ক্লিক করে আবার New Simple Volume অপশনে ক্লিক করুন। খেয়াল করুন, আপনি কেবল ইউএসবি ড্রাইভের unallocated স্থানটিতেই ডান ক্লিক করছেন কি না। একবার New Simple Volume উইজার্ডটি পর্দায় দেখালে Next বোতামে ক্লিক করুন। এখানে আবার Next বোতাম চাপুন। এবার আপনার ইউএসবি ড্রাইভের নতুন পার্টিশনের জন্য ড্রাইভ লেটার নির্বাচন করুন। এরপর Next বোতামে ক্লিক করুন। আবার শেষ পর্দার Next বোতাম চাপলে নতুন পার্টিশন তৈরি হয়ে যাবে। এভাবে যতগুলো পার্টিশন তৈরি করবেন ততগুলোর জন্য আবার ওপরের ধাপ অনুসরণ করতে হবে। পার্টিশন ডিলিট করতে চাইলেই ডিস্ক ম্যানেজমেন্টে গিয়ে Disk 2 Removable-এ থাকা ড্রাইভগুলো থেকে যেটি ডিলিট করতে চান সেটিতে রাইট ক্লিক করে Delete Volume চাপলে সেটি ডিলিট হয়ে যাবে।

by-prothom-alo

উইন্ডোজ দশের পর্দা কালো হলে

উইন্ডোজ দশের পর্দা কালো হলে

অনেক সময় উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারের পর্দা হুট করেই কালো হয়ে যায়। এ ছাড়া কম্পিউটার চালু হওয়ার পর লগইন করলেও উইন্ডোজের পর্দা আর দেখা যায় না, কালো হয়েই থাকে। এ রকম হলে মাউসের কার্সর আর কোনো কাজ করে না। এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে কিছু কাজ করতে হবে।

লগইন করার পর হলে : উইন্ডোজে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার পরই কালো পর্দার এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এমন হলে কম্পিউটারের সঙ্গে লাগানো সব এক্সটার্নাল যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে রিস্টার্ট করুন। যদি পর্দা সচল হয় তবে জানতে পারবেন কোন যন্ত্রের জন্য চালু হচ্ছিল না। এভাবে যন্ত্রাংশ খুলে এবং লাগিয়ে পরীক্ষা নিলে কোন কারণে এমন হচ্ছে তা জানা যাবে। সেই যন্ত্রাংশের জন্য এমন হলে সেটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যন্ত্রাংশ খোলামেলায় যদি সমাধান না আসে তবে কম্পিউটার সেফ মুডে চালাতে হবে। রিস্টার্ট চেপে কিবোর্ডের SHIFT চেপে রাখুন। অনেকগুলো অপশনসহ পর্দা আসবে। সেখানে Safe mode with Networking নির্বাচন করে প্রবেশ করুন। উইন্ডোজের পর্দা অন্য কোনো যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত আছে কি না, সেটি দেখতে Control Panel থেকে Display নির্বাচন করুন। পর্দা উইন্ডোর বাঁ পাশের তালিকা থেকে Project to a Second Display নির্বাচন করুন। একটি সাইড বারে যুক্ত থাকা কম্পিউটার ডিসপ্লেগুলো দেখাবে। এখানে PC Screen Only নির্বাচন করে দিন।

ডিভাইস ম্যানেজার থেকে: কম্পিউটার চালু হলে স্টার্ট মেন্যুতে গিয়ে devmgmt লিখে প্রবেশ করুন। ডিভাইস ম্যানেজার খুললে তালিকার Display Adapters এর ওপর দুবার ক্লিক করে খুলে নিন। Display Adaptor Driver এ ইনস্টল থাকা যন্ত্রে ডান ক্লিক করে Uninstall চাপুন। কম্পিউটার পুনরায় চালু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবার ডিসপ্লে ড্রাইভার সফটওয়্যার ইনস্টল হয়ে যাবে। এটি কালো পর্দা দূর করার অন্যতম মাধ্যম।

Windows 10 Free Download

Windows 10 Free Download
( উইন্ডোজ ১০ এখনো বিনা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে )

উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম বাজারে ছাড়ার পর মাইক্রোসফট তা এক বছর পর্যন্ত বিনা মূল্যে হালনাগাদ করার সুযোগ দিয়েছিল উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ সংস্করণের বৈধ ব্যবহারকারীদের। অনেকেরই জানা আছে, সেই সুযোগ শেষ হয়েছে গত বছরের ২৯ জুলাই। এর মানে নতুন উইন্ডোজ ১০ বৈধভাবে ব্যবহার করতে হলে টাকা দিয়ে কিনতে হবে।

মজার ব্যাপার হলো, বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০ পাওয়ার সময়সীমা শেষ হলেও এই কথা মাইক্রোসফটের অ্যাকটিভেশন সার্ভার যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাঁদের হয়তো কেউ বলেনি! এখনো চাইলে উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেম থেকে উইন্ডোজ ১০ সিস্টেমে হালনাগাদ করা সম্ভব। বৈধ উইন্ডোজ ৭ চালিত দুটি নতুন ও পুরোনো ল্যাপটপ, উইন্ডোজ ৮ চালিত একটি কম্পিউটার এবং একাধিক ভার্চ্যুয়াল যন্ত্রে পরীক্ষা চালিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। সব কটি কম্পিউটারই ডিজিটাল লাইসেন্সের অধীনে সক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে।
আগে ‘গেট উইন্ডোজ ১০’ (Get windos 10 )  বা জিডবিøউএক্স নামের একটি ছোট অ্যাপের মাধ্যমে উপযুক্ত পুরোনো কম্পিউটারগুলো নতুন অপারেটিং সিস্টেমে হালনাগাদ করার সুযোগ ছিল। এখন অবশ্য সরাসরি সেই অ্যাপটি চালু নেই। যাঁদের উইন্ডোজ ৭ এবং ৮.১ সিস্টেম সক্রিয় এবং বৈধ লাইসেন্স রয়েছে, তাঁরা চাইলে নিচের ধাপ অনুসরণ করে উইন্ডোজ ১০ পেতে পারেন।
প্রথমেই যেতে হবে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ১০ নামানোর  https://goo.gl/Sk2QwP   or,   https://www.microsoft.com/en-us/software-download/windows10    ওয়েব ঠিকানায়। তারপর নিচে থাকা Download tool now বোতামে ক্লিক করে উইন্ডোজ মিডিয়া ক্রিয়েশন টুলটি নামিয়ে ইনস্টল ও চালু করতে হবে। টুলটি চালু করে Upgrade this PC now অপশন নির্বাচন করে নেক্সট চাপতে হবে। তখন উইন্ডোজ ১০ সিস্টেমের সব ফাইল নামতে শুরু করবে, এর আকার সিস্টেম অনুযায়ী ৩-৪ গিগাবাইট পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার রিস্টার্ট নেওয়ার বার্তা দেবে। তখন পর্দায় আসা নির্দেশনা নিজের প্রয়োজন অনুসারে অনুসরণ এবং নির্বাচন করতে হবে। বলে রাখা ভালো, যদি সিস্টেম ড্রাইভে রাখা সমস্ত ফাইল, অ্যাপস এবং সেটিংস আগের মতোই রাখতে চান, তাহলে সতর্কতার সঙ্গে অপশনটি নির্বাচন করে দিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে বেশ কিছু সময় লাগতে পারে। এটা আসলে নির্ভর করে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইটথ এবং সিস্টেমের ক্ষমতার ওপর।
ইনস্টলের প্রক্রিয়া শেষ হলে স্টার্ট বোতামে ক্লিক করে Settings>Update & Security>Activation মেনুতে গিয়ে নিজের ডিজিটাল লাইসেন্স সক্রিয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর মানে হলো, এই কম্পিউটারে ভবিষ্যতে যতবার ইচ্ছা উইন্ডোজ ১০ মুছে ফেলে পুনরায় ইনস্টল করা যাবে কোনো প্রডাক্ট কি ছাড়াই। এভাবে সর্বশেষ উইন্ডোজ ১০ ক্রিয়েটরস আপডেট সংস্করণ বিনা মূল্যেই পাওয়া যাবে।






Facebook